সারা বাংলায় এই অষ্টমীর দিনটার জন্যে
সবাই ব্যাকুল ভাবে অপেক্ষা করে থাকে।
ঝাড়গ্রামে দূর্গা পূজায় অষ্টমীর দিন সকালবেলা মানেই ঘোড়া ধরা পার্কে সমাবেশ প্রায় সিংহভাগ ঝাড়গ্রামবাসীর।
কারণটা ঠিক কি চলো আজ তারই সন্ধান খুঁজি – অষ্টমীর দিন ঝাড়গ্রাম ঘোড়া ধরা পার্কের কিছু
মুহূর্ত তোমাদের সামনে তুলে ধরলাম দেখতো মেলাতে পারো কিনা ??
ঝাড়গ্রামের এটাই একমাত্র পূজো মণ্ডপ যেখানে চারদিকেই শাল গাছে ঘেরা পার্কের মধ্যিখানে, সাথে রয়েছে বসার জায়গাও।।তাই স্বাভাবিক ভাবেই এখানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারার সেরা ঠিকানা।
সারা বছর যাদের সাথে দেখা হয়না ,তাদের সাথে এখানে দেখা হয়ে যায়।
অনেকে পুরোনো হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্ব ফিরে পায় আবার নতুন করে।
অষ্টমীর প্রভাতে পুস্পাঞ্জলির সময় মেয়েদের শাড়ী , ছেলেদের পাঞ্জাবি পরে একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা তো আছেই।
পুরো পার্কটা জুড়ে বিভিন্ন ছেলে মেয়েদের দল দেখতে পাওয়া যায়। কোথাও গিটারের তালে তালে গোল করে ঘিরে বসে ছেলে মেয়েদের গানের লড়াই , কোথাও পুরোনো বন্ধুদের সাথে একরাশ ফিরে পাওয়ার গল্প।👬
আছে প্রেম।
সে
প্রাক্তন
এ হোক বা ভিড়ের মধ্যে হটাৎ করেই কোনো সুন্দরীকে ভালো
লেগে যাওয়া
, কাছে গিয়ে নীল শাড়ি পরিহিত
মেয়েটিকে হটাৎ করেই জিজ্ঞেস করা , -- " আচ্ছা তোমার নাম কি নীলাঞ্জনা ??" ☺
পুস্পাঞ্জলির সময় মাঝে মধ্যেই একে অন্যের গায়ে ছুড়ে দেওয়া পুষ্প অর্পন - যেন মনের কোনে হালকা প্রেমের অনুভুতিকে আরো একটু বেশিকরে নাড়িয়ে দেয়।💓
কিছু বাইক বাহিনী ফিল্মি হিরোদের মতো এন্ট্রি নিয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখে নেয় , কেউ দেখছে কিনা তাকে। কারোর মনে সুপ্ত প্রেম যা এত দিন হয়নি বলা আজ সে বলবেই -- কারোর আবার গত বছরের পুরোনো
ক্রাশ কে অন্যের সাথে এবারে ঘুরতে দেখে মনে একটু একটু খানি ব্যথা পাওয়া । 💔
এই
সমস্ত নষ্টালজিয়া ঘোড়াধরা পার্কে অষ্টমীর দিনে চিরকালের , সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে ফিরে আসবেই এই মুহূর্ত গুলো অন্য কারোর হাত ধরে একই রকম ভাবে-- এই একই দিনে। 😇
FB Page - https://www.facebook.com/dearjhargram
Video -
https://youtu.be/GDYnJuiN9XI
https://youtu.be/GDYnJuiN9XI