![]() | ||||
মিলির বড়দিন |
ছোট ছোট
বিভিন্ন
অনুভূতি
গুলো
আমাদের পুরো
জীবন
জুড়েই
রয়েছে।
সেগুলোর
মধ্যে
কিছু
সুখের , আবার
কিছু
মনকে
কষ্ট
দেয়।
বড়দিন উপলক্ষে
তেমনি
স্পেশাল একটা
ছোট্ট
গল্প
– "মিলির বড়দিন" ।⏩
আগামীকাল বড়দিন
– কিন্তু মিলির
সে
ব্যাপারে
কোনো
আগ্রহ
নেই
এই
বছর।
নয়
মাস
হলো
মিলির
বাবা
তাকে
-তার
ছোট্ট
ভাই
বিট্টু
ও
মায়ের
সাথে সমস্ত
সম্পর্কের
মায়া
কাটিয়ে
, অনেক দূরে
চলে
গেছেন। খুব
ভালোবাসতো
মিলি
ওর
বাবা
কে।
এই
তো
গত
বছরেও তো
- তারা কত্ত
মজা
করেছিল একসাথে
, বাবা আর
মিলি
মিলে
প্রতি বছরই
বড়ো
দিনের
আগে
নিজেদের
ঘর
গুলোকে
সুন্দর
করে
সাজিয়ে রাখতো
. বড়দিনের জন্যে বিশেষ
কেক
বানিয়ে
রাখতো
মা
, তারপর ওই
দিনটাতে সক্কলে
মিলে
ঘুরতে
যেত
কোথাও
একটা।
খাওয়া দাওয়া ,ঘোরা,
হৈহুল্লোড়
এই
নিয়েই
কাটতো
বড়দিন
গুলো
প্রত্যেক
বছরে।
কিন্তু এই
বছরে
তাদের
জীবনের
সবচেয়ে
প্রিয়
মানুষটি
তো
আর তাদের
কাছে
নেই। সত্যি
খুব
অদ্ভুত
এই
জীবন -
সব
থেকে
প্রিয়
জনকে
ছেড়ে
যাওয়াটা
কি
এতটাই
সহজ
? কত বড়ো
হৃদয়
ছিল
মিলির
বাবার --
অথচ
– ওই হৃদয়ের
স্পন্দনই
থেমে
গেল
হটাৎ
করে।
এইসব নিয়েই
মিলি
ভাবছিলো
বিষন্ন
মনে , হটাৎ !! বাড়ির
কলিং
বেল
তা
বেজে
উঠতেই
সে সাভাবিক অবস্থায় ফিরে এল।
জানালা
দিয়ে
একবার
উঁকি
দিয়ে
দেখে
নিলো - দেখতে পেলো
“ নীল ” কে
দাঁড়িয়ে থাকতে।
মিলির পাড়ার বন্ধু। খুব বেশিদিন হয়নি তাদের পাড়ায় এসেছে কিন্তু তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বেশ ভালো।
মিলি নিচে
নেমে
দরজাটা
খুলে
দিলো।
নীল : কিরে
ফোন
করালাম এতবার
ধরলি
না
যে
??
মিলি : ফোন
টা
কাছে
রাখিনি রে
আজ।
নীল : ওহঃ
… কেন রে
?? যাই হোক
ছাড়!!
কালকের
প্ল্যান
কি
??
মিলি : নাথিং।
নীল : মানে ?? সন্তু
, রাজু , স্নেহা , আমি , তুই সবাই
যাবো তো প্ল্যান করেছিলাম
.. তোর প্রব্লেম
কোথায়
??
মিলি : প্ল্যান তোরা করেছিলি আমি কিন্তু কিছুই জানাই
নি।
নীল : চল না
ইয়ার ! ঘুরে
আসবি খুব
কাছেই
যাচ্ছি তো
. জানি তোর
মন
ভালো
নেই
বুঝতে
পারি
তাও
চল
না
দেখবি
বেটার
ফীল
করবি অনেকটাই।
মিলি : নারে আমি
এখন
থেকেই
কিছু
বলতে
পারছিনা।
নীল : যাবিনা
তাহলে
? কাল সকালের মধ্যে দেখ যদি তোর ইচ্ছে হয় তো -- ছাড়
!! বিট্টু কোথায় রে
?? ওকে ডাক তো
আমার
দরকার
আছে।
বিট্টু !! ওইইই
বিট্টু।
হ্যাঁ বল নীল দা
??
নীল : চল
তোর সাথে কাজ আছে।
এরপর নীল
বিট্টুকে
নিয়ে
বাইরে
বেরিয়ে
গেল।
মিলি দরজা
বন্ধ
করে দিয়ে
ওপরের
ঘরে
উঠতে
গিয়ে তার
মাকে
দেখতে
পেলো
- বাবার দেওয়ালে
টানানো
জীবন্ত ছবিটাকে
মুছে
দিচ্ছে একটা কাপড় দিয়ে।
মিলি আর
চোখের
জল
ধরে
রাখতে
পারলো
না। এক
ছুটে
ওপরের
ঘরে
চলে
গেল।
বাকি দিনটা
ঘুমিয়েই
প্রায়
কাটিয়ে
দিলো
মিলি।
রাত 12 টা বাজতে
আর
মাত্র
তিরিশ
মিনিট
– ঘুমানোর অনেক চেষ্টা
করলেও
ঘুম
আর
আসছে
না।🕦
বার বার তার
মনে
পরে
যাচ্ছে
যে
প্রতি
বছর
মিলি
তার
ব্যাগ
টাকে
খালি
করে
রাখে এরম রাত এই
, পরের দিন
সকালে
উঠে
মিলি খুঁজে
পেতো
সান্তার
দেওয়া
কোনো
গিফট
সেই
ব্যাগ
এর
মধ্যেই।
যদিও মিলি
বেশ
ভালো
করেই
বুঝতে
পারতো
যে
এই
সান্তা
ক্লজ
আর
কেউ
নয়
তার
প্রিয়
বাবাই।
তাই এবারের
ব্যাগ
এ
যে
কিছুই
থাকবে
না
তা
বলাই
বাহুল্য।
যদিও ব্যাগ
তা
ফাঁকাই
রয়েছে
আজ
ও। এই
সব
ভাবতে
ভাবতেই
কখন
যে আবার
সে
ঘুমের
রাজ্যে
পারি
দিলো , মিলি
বুঝতেই
পারলো
না।
ঘুমের মধ্যে
সে
তার
সান্তা
ক্লজ
বেশী
বাবাকে
দেখতে
পেলো
– “তার বাবা
মিলিকে
কাছে
ডাকছে
হাত
বাড়িয়ে
কিছু
দেওয়ার জন্যে ” ...
ধড়মড়িয়ে বিছানায়
উঠে
বসলো
মিলি।
ভোর হয়ে গেছে।
সামনে রাখা
ব্যাগ
টার
দিকে
নজর
গেলো
তার।
বেশ ফোলা
ফোলা
লাগছে
না
?? হ্যাঁ তাই
তো
??
সন্তর্পনে এগিয়ে
গেল
মিলি
ব্যাগ
টার
কাছে
– কাঁপা কাঁপা হাতে
বাগ
এর চেইন
টা খুলে দিলো।
খুলতেই
মিলি
রঙিন
লাল
সবুজ
কাগজে মোড়া
একটা
গিফট
ভেতর
থেকে
অবিষ্কার
করলো।
মিলি বিস্ময়ে বিস্ফারিত চোখে
কিছু
ক্ষণ
সেখানেই ঠায়
হয়ে
দাঁড়িয়ে
রইলো।
এ
কি
করে
সম্ভব
?? তাহলে কি
বাবা
এখনো
??
হটাৎ !! মিলির মোবাইলের
স্ক্রিনটা জ্বলে
উঠলো
. .📱
"নীল" এর
ক্রিস্টমাস
উইশ
এর
সাথে
আজ
কে
বন্ধুদের
সাথে
ঘুরতে
যাওয়ার
ব্যাপারে
জানতে
চেয়ে
মেসেজ।
মিলির ঠোঁটের কোনে
হালকা
হাসির
স্রোত
খেলে
উঠলো।
সে
বুঝতে
পারলো
যে
সান্তা
ক্লজ
তার
জীবনে
নতুন
ভাবে
ফিরে
এসেছে
অন্য
কারোর
হাত
ধরে
. .
মিলিও নীল
এর
ম্যাসেজ
এর
রিপ্লায়
দিতে
আর বেশি
দেরি
করলো
না
–📱
“okay done” ।
😇
লেখা - সায়ন চ্যাটার্জী।