Monday, 5 March 2018

Rumaal | রুমাল | Bengali Audio Book | GalpoKahini

Rumaal | রুমাল | Bengali Audio Book

Youtube Link - https://youtu.be/y8PaTp1R9QU
সাক্ষী এক অদ্ভুত ত্যাগী ভালোবাসার, সে সাক্ষী এক প্রতিশ্রুতিবান বন্ধুত্বের, সে সাক্ষী কাউকে কাছে টেনে ভুল গুলি শুধরে ভালোবাসার চক্ষু খুলে দেওয়ার।

সাক্ষী এক অদ্ভূত প্রেমকাহিনীর।


Writing - Prabal Bhadra


Narrated By - Sayan Chatterjee


FB - https://www.facebook.com/GalpoKahini

Tuesday, 27 February 2018

Tuesday, 13 February 2018

Sunday, 28 January 2018

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতা ব্যর্থ প্রেম, Narrated By: সায়ন চ্যাটার্জী।

https://youtu.be/kKdQEfROrbc
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতা ব্যর্থ প্রেম
Copy the link for audio - https://youtu.be/kKdQEfROrbc


https://youtu.be/kKdQEfROrbc

কল্পপ্রেম - গল্প কাহিনী


কল্পপ্রেম

কল্পনার জগতে গা ভাসিয়ে দিতে কার না মন চায় যেটা বাস্তবের পৃথিবীতে সম্ভব নয় , সেটাকে কল্পনার মাধ্যমে বেশ নিজের মতন করে গুছিয়ে নেওয়া যেতে পারে
ইদানিং তন্ময় তাই করছে।
সদ্য ব্যর্থ প্রেমে আঘাত পাওয়া তন্ময় তাই নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছে কল্পনায়    আর এখান থেকেই সূত্রপাত এক কল্প প্রেমের  কাহিনীর

রোজ রাতে ঘুমোনোর সময় তন্ময় কোনো এক নারী চরিত্রকে নিজের কল্পনার মাধ্যমে গড়েছে  তার সাথে রোজ কথা হয় ভারী মিষ্টি মেয়েটি , যদিও তার মুখোমণ্ডলটি সুস্পষ্ট নয় ঘন লম্বা চুলের অনেকটাই মুখটিকে ঢেকে থাকে   
মেয়েটি খালি হাসে , আর খালি  ছুটে ছুটে চারপাশে ঘুরে  বেরোয়   তন্ময় তার পিছু পিছু ছুটে গেলেও তাকে ধরতে পারে না তারপর হটাৎ করেই তার ঘুম ভেঙে যায় , আর প্রতিবারের মতোই মেয়েটিকে তার অধরাই থেকে যায়
একদিন তন্ময় ঠিক করেই নিলো যে সে এবার থেকে তারাতাড়ি ঘুমোবে , তাতে বেশি করে সময় দিতে পারবে তার স্বপ্নের সঙ্গীটিকে
সেই মতো কাজ - সেদিন রাত ১০ টার মধ্যেই সে ঘুমিয়ে পরলো, কিন্তু একই 

মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে না তো ??

চারপাশটা ঘন কুয়াশায় ঘেরা কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না তন্ময় খালি একাই দাঁড়িয়ে ঘুম  ভেঙে গেল  
মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল তন্ময়ের  বিছানার পাশে থাকা জলের  বোতলটি হাতে নিয়ে কিছুটা গলায় ঢেলে নিয়ে ঘড়ির দিকে চোখ পরলো
রাত তখন ১১ টা ৩০। 

নাহঃ আবার ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে

এবারে ঘুমের রাজ্যে কুয়াশা কিছুটা কমে এসেছে

আরে ওই ওই যে মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে  

চারিদিকে সবুজ গাছগাছালির , ফুলে ঘেরা সুসজ্জিত বাগান , 

আর

সেখানে একটা বেঞ্চের ধরে বসে আছে মেয়েটি

তন্ময় এগিয়ে যায় মেয়েটির কাছে সামনে কিছুটা যেতেই মেয়েটাও উঠে গেল

তন্ময় বললো - আজ পালিয়ে যেও  না প্লিজ তুমি তো ধরাও দিতে চাও না , কথা বলো ??

মেয়েটি দাঁড়িয়ে থেকেই বলে উঠলো - সবাই খালি  ছুঁতে চায় কেন ? মন কেও  তো কাছে করা যায় ?

এই প্রথমবার মেয়েটির কণ্ঠ স্বর শুনতে পেলো তন্ময় গলার এমন ঝংকার কিছু ক্ষণের জন্যে সময়টা কে যেন থমকে দিলো

তন্ময় জিজ্ঞেস করলো তোমার নাম কি ?

মেয়েটি নিজের চুলের মধ্যে কয়েকটা আঙ্গুল দিয়ে খেলতে লাগলো তারপর বলে উঠলো ......নাম জেনে কি করবে শুনি ?? তুমি তো আমার স্বপ্ন  স্বপ্নেরও নাম থাকতে হয় বুঝি ?

তন্ময় - আজ্ঞে না আমি তোমার নই বরং তুমি আমার কল্পনা আমি তোমায় গড়েছি আমার কল্পনায়

মেয়েটি - হা হা হা !! তাই ?

তন্ময় - হ্যাঁ তা নয়তো কি ?? আচ্ছা চলো আমি তোমার স্বপ্ন।, এবারে তোমার টা বলে ফেলো দেখি

মেয়েটি - তাহলে আমিও  তোমার কল্পনা

তন্ময় -বেশ বেশ... যাই হোক তোমায় পাশে  একটু  বসতে পারি ?

কল্পনা - আজ যে ফিরে যাওয়ার পালা মশাই  সকাল যে হয়ে এল , বাস্তবের  জগৎ  -এ ফিরে যাওয়ার পালা

তন্ময়ের ঘুমটা গেলো ভেঙে স্বপ্ন এত টা সুন্দর কি করে হতে পারে ? বাস্তবের জগতের থেকে অনেক ভালো ছিল তন্ময়ের কল্পনা 
সেদিন পুরো দিনটাতেই কাজের মধ্যেও  তন্ময়ের  মাঝে মধ্যেই মনে পড়ছিলো  তার স্বপ্নকে নায়িকা কে
এভাবেই বেশ  কেটে গেল কিছু দিন তন্ময়ের

একটা ব্যাপার লক্ষণীয় - তন্ময়ের ইচ্ছে হলেই সেই কল্পনা ধরা দিতো না  ঘুম এলেও সমসময় তাকে দেখা যেত না  যেদিন স্বপ্নে তাদের দেখা হতো না , সেদিন তন্ময়ের খুব মন খারাপ হয়ে যেত আর যেদিন দেখা হতো সেদিন ওরা অনেক গল্প করতো মানুষ কি পারে তার কল্পনার প্রেমে পরতে ?? এও কি সম্ভব ??

সম্ভব না হলেও এটাই বাস্তব যে তন্ময় প্রেমে পরে গিয়েছিলো আবারো একবার  -তবে এবারে বাস্তবের নয় - কল্প প্রেম
ঘুমের শহরে স্বপ্ন আর কল্পনার আরো একটু করে কাছে আসা
 
স্বপ্ন (তন্ময়) - কল্পনা তুমি আমার এত কাছে হলে কি ভাবে ? আমি তো তোমায় দেখিও নি

কল্পনা - দেখোনি বলেই তো আমরা এত কাছে , না হলে একদিন ঠিক মন ভরে যেত আমায় দেখে

স্বপ্ন - হারানোর বড্ডো যে ভয় ছিল , এখন আর নেই কারণ কল্পনা হারিয়ে যায় না , নিষ্ঠুর বাস্তবের মতো
কল্পনা তুমি কেন বাস্তবের হতে পারোনা ? যদি হতে তাহলে তো আমাদের জীবন কতটা সহজ হতো বলো ?

কল্পনা -  স্বপ্ন যখন সত্যি হয় তখন সেটার আর মূল্য থাকে না।  তাই থাক না স্বপ্নের কল্পনা হয়ে এই ভাবেই ?

স্বপ্ন - কিন্তু  এখন আমি যে  আমার কল্পনাকেই ভালোবেসেছি।

কল্পনা - তাই তো স্বপ্নেই  আমাদের কল্প প্রেম  বেঁচে থাকবে চির কাল।

এভাবেই চলছিলো  প্রায় প্রতি রাতেই স্বপ্ন কল্পনার কল্পপ্রেম।

সামনে তন্ময়ের জন্মদিন, কল্পনার  সাথে সারাদিন কাটানোর একটাই উপায় সেদিনকে সারাদিন  তাকে ঘুমিয়ে কাটাতে হবে। সেটা সম্ভব নয় , বাড়িতে ভাববে  বুঝবে এই বুঝি শরীর খারাপ।  তখন আরেক বিপদ।  তাহলে উপায় ??

জন্মদিন - এর আগের দিন স্বপ্ন ও  কল্পনার বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হলো।



স্বপ্ন - আগামীকাল আমার জন্মদিন  , গত বছর আমি আমার বাস্তবের ভালোবাসার সাথে ছিলাম। সেই আমি এখন আমার কল্পনার সাথে।



কল্পনা  - আমার খুব অবাক লাগছে এটা ভেবে যে তুমি স্বপ্ন কি করে হতে পারো ? বাস্তবের ওপর বিশ্বাস আমারও হারিয়েছে।  স্বপ্নরাই কি তবে নতুন করে ভাবতে শেখায় ?





স্বপ্ন - হয়তো যখন বাস্তবতায় হারায় বিশ্বাস - তখনি কল্পনার মাধ্যমে আমরা খুঁজে পাই  আশ্বাস।  


কল্পনা  - হয়তো  তাই হবে।  আচ্ছা শোনো তোমার জন্মদিনে  একটা কাজ করলে হয়  , সেই সমস্ত মানুষদের ভালোবাসো যাদের ভালোবাসার মানুষের বড্ডো অভাব। 


স্বপ্ন - হ্যাঁ এটা ভালো  বলেছো । কিন্তু তুমি …..??



কিছু বলার আগেই তন্ময়ের বাবার ডাকে ঘুম টা গেল ভেঙে। 


তন্ময়ের বাবা - বাজারে যেতে হবে তোকে একটু আমার সাথে উঠে পর। তোর তো আজ জন্মদিন , কিছু স্পেশাল রান্না তো মা করবে নাকি ??



মনটা খারাপ হয়ে গেল স্বাভাবিক - কথা অসম্পূর্ণ থেকে গেল।  বলাও হলো আজ স্বপ্নের কল্পনার সাথে বেশি করে সময় কাটানোর কথা। পরে তন্ময় ভেবে নিলো আমারি যখন কল্পনা … একটু ভেবে নিলেই সামনে ধরা দেবে ইচ্ছে মতো।   

যাইহোক তন্ময় কিছু সময় পরে বাজারে বেরিয়ে পড়লো তার বাবার সাথে।



বাজার থেকে বেরোতেই  সামনের রাস্তার কাছে  তন্ময় দেখতে পেলো  কিছু   গরিব বাচ্চাদের একটি মেয়ে হাতে চকোলেটে ও অন্যান্য কিছু  খাবার জিনিস দিচ্ছিলো।
 ঠোঁটে মিষ্টি হাসি তবে ঘন লম্বা চুলের অনেকটাই মুখটিকে ঢেকে রেখেছে।    

তন্ময়ের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল এই মেয়েটা হুবহু তার কল্পনার মতোই। 

সামনে এগিয়ে যেতেই স্নিগ্ধ মিষ্টি একখানা মুখ দেখতে পেলো তন্ময়।



এবারে মেয়েটিও তন্ময়ের দিকে তাকাতেই দুজনের সময় কিছু ক্ষণের জন্যে যেন থেমে গেল।



তন্ময়ের মুখ থেকে একটা শব্দ মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বেরিয়ে এল ------ কল্পনা ??



মেয়েটিও নিশ্চল অবস্থায় ওভাবেই বলে উঠলো ................

স্বপ্ন ?? 




(বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের সমস্ত জিনিস একে ওপরের সাথে জুড়ে রয়েছে। 

ঠিক যে ভাবে জুড়ে থাকে আমাদের  টেলিফোন , মোবাইল ফোন গুলো - আমাদের মস্তিষ্কেও এরম কিছু তরঙ্গ আছে যা আমাদের একে ওপরের সাথে জুড়ে রাখে।

যখন আমরা কারোর জন্যে খুব চিন্তা করি , অনেক সময় এটা হয় যে সে ব্যক্তিও আমাদের নিয়েই ভাবছে ওই সময়। এমনকি মনের কথা আদান প্রদান সম্ভব , এটা কে টেলিপ্যাথি বলা হয়। 

যদিও আমাদের গল্প এই টেলিপ্যাথি নিয়ে নয়।  এখানে দুজনেই নিজেদের একাকী মনকে কল্পনায় ভাসিয়ে দিয়েছিলো - আর ওদের কল্পনার তরঙ্গের  জোর এতটাই যে দুই তরঙ্গের মেলবন্ধন হয়ে গিয়েছে ।  ঠিক যেমন টা হতো টেলিফোনের  ক্রস কানেকশন এ। 



আমাদের এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এমন অনেক কিছুই ঘটে যা বাস্তবতা দিয়ে মেপে নেওয়া  অসম্ভব।)

 

লেখা - সায়ন চ্যাটার্জী। 

 











 

Featured post

My friend

At a rainy night . For the first time I discovered you in the outside of our house - the little white black body was rolling back from th...