আবার ফিরে পাওয়া - ঝাড়গ্রাম লায়ন্স মডেল
স্কুলের হারানো দিন গুলো
-
লেখা
- সায়ন চ্যাটার্জী।
হারানো
দিন গুলোকে ফিরে পেতে
কে না চায় ?? সবাই
বলে যা কখনোই সম্ভব
নয়।
কিন্তু
আমি যদি বলি সম্ভব
?? কি বলছেন ? কি ভাবে ?? তাহলে চলুন
আপনাকে নিয়ে যাই আমার
হারানো কিছু দিনে -
সেদিন হটাৎ করেই
চলে গেলাম আমার জীবনের
প্রথম স্কুলের দিকে। ঝাড়গ্রাম
লায়ন্স মডেল স্কুল -
এত গুলো বছর পেরিয়ে
এসেছে বদলে গেছে অনেক
কিছুই - এখন তো হাই
স্কুল হয়ে উঠেছে , মাঠের
দিকে বেশ কিছু নতুন বড়ো
বিল্ডিং এখন দেয়াল
দিয়ে ঘেরা। আমাদের
সময় এটা ছিল না।
যাই হোক আমি পুরোনো বিল্ডিংটার দিকেই
এগিয়ে গেলাম যেটা রাস্তায়
ঠিক সামনেই। স্কুল
এর সামনের দিকটা এখানেই। এই
সেই জায়গা যেখানে কত
পুরোনো স্মৃতি জুড়ে রয়েছে - মনে
পড়লো কত কষ্টে বুঝিয়ে
শুনিয়ে আমায় এখানে
মা বাবা ছেড়ে দিতো
গেট এর সামনে।ঢুকতেই চাইতাম না।
পরে অনেক কষ্টে চোখের
জল নিয়ে অভিমান
করে একবার
ও আর তাকাতাম না ওদের দিকে। বনানী
মিস আমার হাত ধরে
সোজা ক্লাস রুম এর
দিকে নিয়ে যেত।
সময়ের
সাথে সাথে
কষ্ট হলেও মানিয়ে নিয়ে
ছিলাম পরে -
তারপরেই
শুরু হলো আমার দুর্দান্ত
প্রতাপ দুস্টুমির নিদর্শন , ঘন্টা বাজিয়ে প্রার্থনার
লাইন এ আমায় চুপ
করিয়ে দাঁড় করানোটাই শিক্ষকদের প্রতিদিন এর রুটিন হয়ে
গিয়েছিলো।
কবিতা
ম্যাডাম কে জমের মতো
ভয় পেতাম। অংকের ক্লাস হলেই
মার একটু হলেও আমার
জন্যে বরাদ্দ ছিল।
যদিও রত্না
মিস , কবিতা মিস , রেখা
মিস আমায় বেশ ভালোবাসতো
হয়তো বেশি দুস্টুমি করতাম বলেই।
আবার আবদার করে বনানী
মিস এর কাছে টিফিন
এর একটু বেশি চেয়ে
নিতাম। আমার
আবার যেদিন ডিম্
দিতো টিফিন এ খুব
বাজে লাগতো আমি সেটার
পরিবর্তে কেক / মুড়ি মাখা
চেয়ে নিতাম।
ডিম্ গুলো পুরো ক্লাস
রুম এ মাখামাখি হতো
, ছোড়াছুড়ি ও। তাই হয়তো ডিম্
এর দিন নিজেকে লুকিয়ে রাখতাম।
যদি আবার কেউ আমায়
ছুড়ে মারে….
এই সব চিন্তা
করতে করতেই হটাৎ করে স্কুল এর সামনের দিকে ওপরের ঠিক সামনের ক্লাস এর জানালার দিকে
চোখ গেল -
তিনটে ছেলে তাকিয়ে
আমার দিকেই।
মনের কোণায় একটা ঝিলিক দিয়ে উঠলো যেন পুরোনো দিনটাই চোখের সামনে
দেখছি -
এটাই তো সেই জানলা
যেখান থেকে একবার আমি আর প্রীতম পথচলতি ১ বুড়ি কে
একবার ডাইনি বুড়ি বলে ফেলে কি ঝামেলাটাই
না বাঁধিয়েছিলাম। বুড়ি সোজা আমাদের হেড স্যার কে
এসে নালিশ জানিয়ে দিয়েছিলো।
এইই ওই দিকে কি
আছে হ্যাঁ ?? এদিকে তাকাও --
আমার চমক ভাঙলো
দেখলাম পুচকে গুলো আবার মুচকী হেসে তাদের মাথা জানলা থেকে সরিয়ে নিচ্ছে ।
এরমটাই তো হতো
আমাদের যা আজ ও হচ্ছে -
হয়তো সময় পেরিয়ে যায়
সময় এর নিয়মেই-- কিন্তু
দিন গুলো ফিরে ফিরে
আসে কারোর না কারোর
মাধ্যমে ।
তুমি কাল যা কাটিয়ে গেছো তা আবার অন্য কেউ কাটাচ্ছে একই ভাবে এটাই নিয়ম। আমিও অল্প হেসে রাস্তা ধরে দিলাম পারি নিজের উদ্দেশ্যে।
তুমি কাল যা কাটিয়ে গেছো তা আবার অন্য কেউ কাটাচ্ছে একই ভাবে এটাই নিয়ম। আমিও অল্প হেসে রাস্তা ধরে দিলাম পারি নিজের উদ্দেশ্যে।
আপনারাও
চলে যান সেই সব
স্মৃতি মাখা জায়গায় , ঘুরে
আসুন না ? নিজেদের
অতীত কে এই ভাবেই হয়তো
আমার মতোই ফিরে পেয়ে
যেতে পারেন।