১৯৪০ সালের ১২ ই মে ঝাড়গ্রামে জনসভা করতে এসে ঝাড়গ্রাম পরিদর্শন
করেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।
শোনা যায় ওই দিন জনসভা করতে এসে খাবারের হোটেল খুঁজতে বেরিয়েছিলেন
সুভাষচন্দ্র বসু। নাড়াজলে রাজ্ এস্টেটে এর কুমার দেবেন্দ্র
লাল খান কে সঙ্গে নিয়ে সুভাষচন্দ্র চষে বেরিয়েছিলেন জুবিলী
বাজার সেই দিক থেকে ভারতের স্বাধীনতা
আন্দোলনের বীর যোদ্ধা
সুভাষচন্দ্রের পদহধুলী পড়েছিল
জুবলী মার্কেটে ।
আমরা যেটাকে দুর্গাময়দান বলে চিনি, ঠিক ওখানেই লক্ষ্য করবেন
স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে একটি শিলাখণ্ড রয়েছে এবং তাতে খোদাই করা রয়েছে। ঠিক ওখানেই দাঁড়িয়ে
থেকে জনসভাটি উনি করেছিলেন।
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু সকল ধরনের কুসংস্কারের বাইরে ছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, “ধর্মের নামে, দেশের নামে বা রাজনীতির নামে কোনো প্রকার গোঁড়ামি যেন
আমাদের শিক্ষা মন্দিরে প্রবেশ করিতে না পারে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রাখা উচিত।” তিনি
ছিলেন বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পক্ষপাতি। তাঁর মানসিকতা বোঝার জন্য আমরা পড়তে পারি এই
কথাটুকু যেখানে তিনি লিখছেন, “ধর্মনিরপেক্ষ ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার আর একদিক দিয়া
উপযোগিতা রহিয়াছে। ইহা অর্থনৈতিক চেতনা জাগ্রত করিতে সহায়তা করে। অর্থনৈতিক চেতনার
প্রভাব গোঁড়ামির মৃত্যু ঘোষণা করে”।
আমরা ঝাড়গ্রামবাসীদের
মধ্যে অনেকেই এটা জানিনা যে আমাদের বাঙালির
প্রিয় জন নেতা নেতাজির সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে
আমাদের প্রিয় ঝাড়গ্রামের সাথেও ।
ধারণা করা হয়, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস ১৯৪৫ সালের ১৯ আগষ্ট
টোকিও যাবার পথে, তাইওয়ানে এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তবে তার মৃত্যুর সঠিক তারিখ
ও স্থান সম্পর্কে এখনো বিতর্কের অবকাশ রয়েছে।
স্কুলে যতবার প্রিয় নেতা রচনা লিখতে দেওয়া হতো আমার অন্য কারোর
কথা মাথাতেও আসতো না।
খুব খারাপ লাগে ভেবে - যে মানুষ টা নিজের সমস্ত স্বার্থ ত্যাগ
করে দেশকে নিজের সবটা উজাড় করে দিয়েছে , শুধু
মাত্র এই দিন টা দেখার জন্যে ??
জাত পাত , বর্ণ রং নিয়ে এই সময়ে এখনো চলছে লড়াই। কার জন্যে
?
তুমি আবার ফিরে এসো নেতাজি। তোমায় আমাদের
যে বড়োই প্রয়োজন আজ।
কিছু অজানা তত্থ –
Ø ১৯৪০
সালের ১২ ই মে ঝাড়গ্রামে জনসভা করতে এসে ঝাড়গ্রাম পরিদর্শন
করেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।
Ø আমরা
যেটাকে দুর্গাময়দান বলে চিনি, ঠিক ওখানেই লক্ষ্য করবেন স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে একটি শিলাখণ্ড
রয়েছে এবং তাতে খোদাই করা রয়েছে। ঠিক ওখানেই দাঁড়িয়ে থেকে জনসভাটি উনি করেছিলেন।
Ø শোনা যায় ওই দিন জনসভা করতে এসে খাবারের
হোটেল খুঁজতে বেরিয়েছিলেন
সুভাষচন্দ্র বসু। নাড়াজলে রাজ্ এস্টেটে এর কুমার দেবেন্দ্র
লাল খান কে সঙ্গে নিয়ে সুভাষচন্দ্র চষে বেরিয়েছিলেন জুবিলী
বাজার সেই দিক থেকে ভারতের স্বাধীনতা
আন্দোলনের বীর যোদ্ধা
সুভাষচন্দ্রের পদহধুলী পড়েছিল
জুবলী মার্কেটে ।
Ø ঝাড়গ্রামে জনসভার পরে "নেতাজি" কুমুদ কুমারী বিদ্যালয়ের প্রথম আদর্শ শিক্ষক "রাধাশ্যাম বসুর" বাড়িতে রাত্রি যাপন করেছিলেন।
Ø সকালে ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী বাড়ি ঘিড়ে ফেলে যদিও ততক্ষনে নেতাজি চলে গিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম ছেড়ে।
ঝাড়গ্রামের বুকে ওনার পদধূলী পড়েছিল এটা আমাদের প্রত্যেক ঝাড়গ্রামবাসীর কাছে গর্বের বিষয়।
আজ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র
বসুর ১২১তম জন্মবার্ষিকী তে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।
No comments:
Post a Comment